পোস্টগুলি

Biography লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রুল অব থার্ডস | Rule of Thirds

ছবি
প্রথম প্রথম যে কোনও ফটোগ্রাফারের প্রবণতা হয়ে থাকে ছবির সাবজেক্টকে ছবির মাঝখানে বা কেন্দ্রে রাখা। এটা হয়তো বা কারণ আপনি যখনি কাওকে দেখবেন, তাকে আপনি ছবির মাঝখানে রেখে ফ্রেইম করবেন।  তবে ফটোগ্রাফি করার ক্ষেত্রে কি এটা ভাল প্র্যাকটিস? আসলে না।  এটি সব চেয়ে বড় ত্রুটি যা প্রায় করা হয়ে থাকে যখন একটি সাবজেক্ট কে ঘিরে ছবি তোলা হয়ে থাকে, যেমন একজন ব্যক্তি, পাখি, প্রানি, ফুল, ইত্যাদি। তবে একটি কেন্দ্রিক সাবজেক্ট একটি বোরিং ছবি হয়ে থাকে। কেন? কারণ যখন কেও ছবিটি দেখবে, তার দেখার আর কিছু থাকে না। এটি বেশী "straight forward" হয়ে গিয়ে থাকে। চোখের আর কোন মুভমেন্ট এর প্রয়োজন হয় না। উদাহারন সরূপ নীচের পাখির ছবিটি দেখুন।  পাখিটি একদম ছবির মাঝখানে, এবং পাখির দু'পাশে সমান ভাবে খালি স্থান ভাগ করা। ফলে ছবিটি একটি স্ট্যাটিক ছবি। এই সমস্যাটি খুব সহজেই সমাধান কড়া যায় ফটোগ্রাফির সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কম্পসিশান টেকনিক দিয়ে, যেটাকে বলা হয়ে থাকে "রুল অব থার্ডস"। এই রুল্টি হচ্ছে একটি গাইডলাইন যা আপনাকে সাহায্য করবে সাবজেক্ট কে ছবির একদম কেন্দ্র সরিয়ে আনতে এমন ভাবে যেন আপনার ছব...

মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ফটোজার্নালিস্ট রঘু রায়ের সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর| Friends of Liberation Raghu Rai's recent visit to Bangladesh

ছবি
ভারতীয় ফটোজার্নালিস্ট ও মর্যাদাসম্পন্ন ম্যাগনাম ফটোর সদস্য রঘু রায় - বাংলাদেশীদের কাছে যিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ছবিগুলোর জন্য সমধিকপরিচিত, যাঁকে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে সম্প্রতি সফর করে গেলেন বাংলাদেশ দৃকের ছবিমেলার সৌজন্যে।  Bangladesh. 1971. The Price of Freedom রঘু রায়ের (Raghu Rai) জন্ম ১৯৪২ সালে ঝাং নামের এক ছোট্ট গ্রামে যা এখন পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত। ফটোগ্রাফি শুরু করেন ১৯৬৫ সালে আর পরের বছরই স্টেটসম্যান (Statesman) পত্রিকায় চীফ ফটোগ্রাফার হিসাবে যোগদান করেন। হেনরি কারতিয়ে ব্রেসওঁ (Henri Cartier-Bresson) ওনাকে ১৯৭৭ সালে ম্যাগনামে যোগদানে আহবান জানান ১৯৭২ সালে প্যারিসে হওয়া প্রদর্শনীতে রায়ের কাজ দেখে। ১৯৭৬ সালে স্টেটসম্যান ছাড়ার পর রায় কাজ করেন কলকাতা থেকে প্রকাশিত 'সানডে' (Sunday) নামের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে পিকচার এডিটর হিসাবে। ১৯৮০ সালে সেটিও ছেড়ে যোগদেন ইন্ডিয়া টু’ডেতে (India Today) পিকচার এডিটর/ভিজুয়ালাইজার/ফটোগ্রাফার হিসাবে এর বাল্যবেলায়, যা আজ ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী ম্যাগাজিন। তিনি ওখানে ১৯৮২-১৯৯১ পর্যন্ত কাজ করেছিল...

শকুন এবং শিশুটির ছবির পশ্চাতের কাহিনী । The Vulture And The little Girl

ছবি
This work is licensed under a Creative Commons Attribution 2.0 Generic License . Photo: Sudane Famine - Cliff / Flickr / CC BY 2.0 ,   Original title: Struggling Girl শকুনটি অপেক্ষা করছিল কখন মেয়েটা মারা যাবে আর সে তার মাংস গলধারন করবে। ছবিটি তুলেছিল দক্ষিন আফ্রিকার ফটোসাংবাদিক কেভিন কার্টার। উনি তখন সুদানে অবস্হান করছিল তার উপর আরোপিত কর্তব্য সম্পাদন করতে। ১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে কেভিন সুদান গমন করে। সেই সময় সুদানে চলছিল দূর্ভিক্ষের মহা তান্ডব লীলা। সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল জাতিসংঘ। প্লেন থেকে খাদ্য নিক্ষেপ করে বিলি করছিল ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝে। খোলা হয়েছিল খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা ছিল অতি অপ্রতুল। জীর্ণ, শীর্ণ, ক্লান্ত দূর্ভিক্ষ প্রপীড়িত মানুষ গুলি সেই খাদ্য পাওয়ার প্রতিযোগিতায় আত্মনিয়োগ করে করুন পরাজয়ের শিকার হয়ে প্রতি ঘন্টায় প্রায় বিশ জন করে ঢলে পড়ছিল মৃত্যুর কোলে। বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের একা রেখে ছুটছিল নিক্ষিপ্ত খাদ্যের পেছনে। এমন একটি দূঃসময়ে কেভিন কার্টার সুদানের এডওয়ার্ড গ্রামে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি খাদ্য বিতরন কেন্দ্রের পাশে দেখত...